অনুচ্ছেদ লিখো স্বাধীনতা দিবস ,অনুচ্ছেদ “স্বাধীনতা দিবস”, স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ for class 10,স্ট্যাটাস লেখো স্বাধীনতা দিবস ,১০ টি বাক্য স্বাধীনতা দিবস,৫ টি বাক্য স্বাধীনতা দিবস ,

অনুচ্ছেদ লিখো স্বাধীনতা দিবস ,অনুচ্ছেদ “স্বাধীনতা দিবস”, স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ for class 10,স্ট্যাটাস লেখো স্বাধীনতা দিবস ,১০ টি বাক্য স্বাধীনতা দিব
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

বিষয়: ‘স্বাধীনতা দিবস’ সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ লিখুন স্বাধীনতা দিবস, অনুচ্ছেদ স্বাধীনতা দিবস , অনুচ্ছেদ স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ, স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ PDF Download,অনুচ্ছেদ নিয়োগ পরীক্ষায় আসা স্বাধীনতা দিবস, স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ, অনুচ্ছেদ স্বাধীনতা দিবস (PDF Download)

স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ লিখ ।

স্বাধীনতা এক অমূল্য সম্পদ। ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে স্বাধীনতার গুরুত্ব অপরিসীম। ২৬-এ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস । আমাদের জীবনে স্বাধীনতা দিবস অত্যন্ত গৌরবময় তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সূচনা হয়, অবসান ঘটে তেইশ বছরব্যাপী চলা পাকিস্তানি অপশাসনের। বাঙালির স্বাধীনতা ঘােষণা এবং স্বাধীনতা লাভের পেছনে রয়েছে এক সুদীর্ঘ প্রেক্ষাপট ও সংগ্রামের ইতিহাস।

১৯৪৭ সালে। দেশবিভাগের পর থেকে পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে। প্রথমেই আমাদের মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত আসে। পরবর্তীতে তাদের ঔদ্ধত্য ও নিষ্ঠুরতা চরম আকার ধারণ করে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল।

(ads1)

কিন্তু জনগণের রায়কে উপেক্ষা করে পাকিস্তানি সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে। এদেশের সচেতন জনতা কিছুতেই তা মেনে নিতে পারেনি। ১৯৭১ সালের ২৫-এ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে হামলা চালায় নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। তারা নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় পিলখানা, রাজারবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। মধ্যরাতের পর হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রেফতারের পূর্বেই, অর্থাৎ ২৬-এ মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘােষণা করেন।

তাঁর স্বাক্ষরিত ঘােষণা বার্তাটি তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়। এরপর চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭-এ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নামে প্রচারিত হয় স্বাধীনতার ঘােষণা । সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে স্বতঃস্ফূর্ত মুক্তির সংগ্রাম। এরপর গােটা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করে নয় মাসব্যাপী চলা বাঙালির বীরত্বপূর্ণ স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘটনাবলি। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি লাভ করে চূড়ান্ত বিজয়, লাভ করে মুক্তির স্বাদ। আমাদের জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবস বিশেষ তাৎপর্যবহ একটি দিন।

প্রতি বছর ২৬-এ মার্চ যথাযােগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। এদিন সমস্ত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠান আয়ােজন করা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় দীক্ষা প্রদান করা হয়। বলা হয়ে থাকে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। তাই প্রতিটি স্বাধীনতা দিবসে আমাদেরকে স্বাধীনতা রক্ষার বলিষ্ঠ শপথ গ্রহণ করতে হবে । আর সেই শপথকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে দেশ গড়ার নতুন প্রত্যয়ে।


আরো ও সাজেশন:-

 

অথবা  স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ লিখ ।


২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জীবনঘাতী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাপিয়ে পড়ে।

ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গােলাবর্ষণ করা হয়। অনেক স্থানে নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানাে হয় এবং বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালানাে হয়। ঐ রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্বে বঙ্গবন্ধু ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর (অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে) স্বাধীনতার ঘােষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন, যা চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে পাঠানাে হয়।

২৬ মার্চ এই ঘােষণাপত্রটি চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান চৌধুরী পাঠ করেন। তখন থেকেই এ দিনটি স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এ দিবসে সকল সরকারি ভবনের শীর্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পথঘাট ও বাড়িঘরগুলাে রংবেরঙের ব্যানার ও ফেস্টুনে সজ্জিত করা হয়। সকালে স্কুলের শিক্ষার্থীরা র্যালিতে অংশ নেয়। সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলােচনা সভা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী প্রভৃতির আয়ােজন করা হয়। এ দিন হাসপাতাল, এতিমখানা ও জেলখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

আমাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রতকরণে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশে বাঙালির চূড়ান্ত সশস্ত্র সংগ্রাম এ দিনেই শুরু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘােষণায় সেদিন বাঙালি লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা পেয়েছিল বলেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে একটি আধুনিক, প্রগতিশীল ও কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে বাাদেশকে গড়ে তােলার পথযাত্রায়। স্বাধীনতা দিবস তাই বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক বদলকারী ঘটনা।

রচনা ,প্রবন্ধ উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ উত্তর লিংক
আবেদন পত্র উত্তর লিংক অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক
চিঠি ও ইমেল উত্তর লিংক প্রতিবেদন উত্তর লিংক
Paragraphউত্তর লিংক Compositionউত্তর লিংক
Applicationউত্তর লিংক Emailউত্তর লিংক
Essayউত্তর লিংক Letterউত্তর লিংক

অথবা  স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ লিখ ।

স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ স্মরণীয় একটি দিন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল এদেশের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র স্বাধীনতার সংগ্রাম। এ দিনটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদার বর্ণিল স্মারক। ১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (Awami League) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল। কিন্তু গণমানুষের রায়কে উপেক্ষা করে পাকিস্তানি সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে।

(ads2)

এদেশের মানুষ তা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি আন্দোলন শুরু করে। এদেশের মানুষের আন্দোলনে ভীত হয়ে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানী বর্বর শাসকগােষ্ঠী বাংলাদেশের নিরত্র নিরহ মানুষের মানুষের উপর আক্রমণ চালায়। সারাদেশব্যাপী হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযােগসহ নানা ধরনের বর্বরতা চালায়। এদেশের অকুতােভয় বাঙালিও পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তুলে। দীর্ঘ নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস।

প্রতিবছর এ দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ মর্যাদায় পালন করা হয়। স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গৌরবের ও মর্যাদার।



অথবা  স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ লিখ ।

২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়। ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও পাকিস্তানের সামরিক সরকার তাঁর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করতে থাকে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয় তীব্র আন্দোলন। এ আন্দোলন এক পর্যায়ে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে রূপ নেয়। এরপর পাকিস্তান সরকার কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে ৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে এদেশের নিরীহ ছাত্র-জনতা ও পুলিশ-ইপিআরের উপর অতর্কিত হামলা শুরু করে। এতে অনেক মানুষ হতাহত হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুকেও গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের পূর্বে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ পরিস্থিতিতে এ দেশে অবস্থানরত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি সৈনিকরা সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেন।

তাদের এ বিদ্রোহের মধ্য দিয়েই আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রাম সশস্ত্র যুদ্ধের রূপ নেয়। এরপর একটানা নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এক নদী রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই প্রতিবছর ২৬ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে এদিনটি স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।


[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


অথবা  স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ লিখ ।

স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ স্মরণীয় একটি দিন। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল এদেশের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র স্বাধীনতার সংগ্রাম। এ দিনটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদার বর্ণিল স্মারক। ১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল।

কিন্তু গণমানুষের রায়কে উপেক্ষা করে পাকিস্তানি সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে। এদেশের মানুষ তা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি আন্দোলন শুরু করে। এদেশের মানুষের আন্দোলনে ভীত হয়ে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে বর্বর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের নিরস্ত্র নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ চালায়। সারাদেশব্যাপী হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের বর্বরতা চালায়। এদেশের অকুতোভয় বাঙালিও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল বলে ২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। প্রতিবছর এ দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ মর্যাদায় পালন করা হয়। স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গৌরবের ও মর্যাদার।

(ads1)


রচনা ,প্রবন্ধ উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ উত্তর লিংক
আবেদন পত্র উত্তর লিংক অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক
চিঠি ও ইমেল উত্তর লিংক প্রতিবেদন উত্তর লিংক
Paragraphউত্তর লিংক Compositionউত্তর লিংক
Applicationউত্তর লিংক Emailউত্তর লিংক
Essayউত্তর লিংক Letterউত্তর লিংক

অথবা  স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ লিখ ।

ছাব্বিশে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালে এই দিনের সূচনায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর এই ঘোষণায় হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশকে মুক্ত করার আহ্বান জানান। শুরু হয় সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করলেও ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে সামরিক সরকার ষড়যন্ত্র শুরু করে। ওই সামরিক সরকার নিয়ন্ত্রিত হতো পশ্চিম পাকিস্তানিদের দ্বারা এবং পশ্চিম পাকিস্তানিদের স্বার্থে। পূর্ব বাংলার বাঙালিদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যা সমাধানের সব প্রকার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পঁচিশে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের উপর গণহত্যা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হলেও তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন। ১৯৪৭ সাল থেকে চব্বিশ বছর ধরে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক শ্রেণি পূর্ব বাংলার উপরে যে নিপীড়ন ও শোষণ চালিয়েছে, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে তার অবসান ঘটে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয়, তাই এই দিন হলো বাংলাদেশের বিজয় দিবস। অন্যদিকে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ থেকেই এ দেশের মানুষ স্বাধীন, কেননা ঐ তারিখেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।

স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা

২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়। ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও পাকিস্তানের সামরিক সরকার তাঁর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করতে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয় তীব্র আন্দোলন। এ আন্দোলন এক পর্যায়ে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে রূপ নেয়। এরপর পাকিস্তান সরকার কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে ৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে এদেশের নিরীহ ছাত্র-জনতা ও পুলিশ-ইপিআরের উপর অতর্কিত হামলা শুরু করে। এতে অনেক মানুষ হতাহত হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুকেও গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের পূর্বে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ পরিস্থিতিতে এ দেশে অবস্থানরত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি সৈনিকরা সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেন। তাদের এ বিদ্রোহের মধ্য দিয়েই আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রাম সশস্ত্র যুদ্ধের রূপ নেয়। এরপর একটানা নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এক নদী রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই প্রতিবছর ২৬ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে এদিনটি স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ SSC

স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ স্মরণীয় একটি দিন। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল এদেশের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র স্বাধীনতার সংগ্রাম। এ দিনটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদার বর্ণিল স্মারক। ১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল। কিন্তু গণমানুষের রায়কে উপেক্ষা করে পাকিস্তানি সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে। এদেশের মানুষ তা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি আন্দোলন শুরু করে। এদেশের মানুষের আন্দোলনে ভীত হয়ে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে বর্বর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের নিরস্ত্র নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ চালায়। সারাদেশব্যাপী হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের বর্বরতা চালায়। এদেশের অকুতোভয় বাঙালিও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল বলে ২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। প্রতিবছর এ দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ মর্যাদায় পালন করা হয়। স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গৌরবের ও মর্যাদার।

স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ Class 10

স্বাধীনতা দিবস জাতীয় জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এটি ছিল স্বাধীনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সূচনা। এটি 1971 সালের 26 মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এই দিনটি একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মসম্মানের একটি প্রাণবন্ত স্মৃতিস্তম্ভ। 1970 সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। পাকিস্তান সরকার ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু জনগণের রায় উপেক্ষা করেছিল। পাকিস্তানের জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। বাঙালি আন্দোলনের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানের বর্বর শাসকগোষ্ঠী জনগণের আন্দোলনকে ভয় পেয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিরীহ বাংলাদেশীদের ওপর হামলা চালায়। সারা দেশে হত্যা, লুটপাট, ধর্ষণ সবই ছিল বর্বরতার অংশ। এই দেশের সাহসী বাঙালিরা পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ যুদ্ধে জয়লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। প্রতি বছর, রাষ্ট্র মহান মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। স্বাধীনতা দিবস আমাদের জীবনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ দিন।

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.