একটি রচনা লিখুন বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব,বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব রচনা , বাংলা রচনা বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব,রচনা বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব ,বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব ১০ টি বাক্য রচনা,বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব ৫ টি বাক্য রচনা,

একটি রচনা লিখুন বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব,বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব রচনা , বাংলা রচনা বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব,রচনা বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব ,ব
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

রচনা: কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব/কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব/বৃত্তিমূলক শিক্ষার কর্ম ও জীমনমূখী শিক্ষার গুরুত্ব/ আত্মকর্মসংস্থানমূখী শিক্ষার গুরুত্ব/ উৎপাদনমূখী শিক্ষার গুরুত্ব :০১

ভূমিকা : শিক্ষা মানুষের সুপ্ত সম্ভাবনার বিকাশ ঘটায়। জীবন ও জীবিকার ক্ষেত্রে তাকে সামর্থ্য ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কার ও সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক অগ্রগতির ফলে মানব জীবনের নিত্যনতুন কর্মদিগন্ত খুলে গেছে। ফলে বংশানুক্রমিক পেশাগত বৃত্তি অবলম্বন করে নিশ্চিত জীবনযাপনের দিন ফুরিয়ে গেছে। বরং নিত্যনতুন যে কর্মদিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে তার সঙ্গে বিশেষায়িত শিক্ষার যোগ হয়ে পড়েছে অপরিহার্য। এই কারণে আধুনিক বিশ্বে সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কর্মমুখী শিক্ষা ক্রমের অধিকতর গুরুত্ব লাভ করছে।

সংজ্ঞা ও গুরুত্ব : কর্মমুখী শিক্ষা হচ্ছে জীবিকা অর্জনের জন্যে সম্ভাব্য পেশাগত কর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত শিক্ষা। মানুষের জীবনযাত্রার ধরন ও বৈশিষ্ট্যের ব্যাপক পরিবর্তন এবং জীবন ও জীবিকার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার ফলে কর্মমূখী শিক্ষার গুরুত্ব ও চাহিদা বাড়ছে। এককালে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে বাস করে বাংলাদেশের মানুষ সুখে জীবন কাটিয়েছে। বৃত্তি বা পেশাগত শিক্ষা নিয়ে তাকে ভাবতে হয় নি। বংশানুক্রমিক পেশা অবলম্বন করেই জীবিকা নির্বাহ করেছে। কিন্তু এখন সে দিন আর নেই। জনসংখ্যা এখন বেড়েছে বিপুলভাবে। তার প্রচন্ড চাপ পড়েছে সীমিত সম্পদের ওপর। ফলে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশে নব নব কর্মসংস্থান ও অগ্রগতির পথে অগ্রসর না হলে জাতীয় জীবনে নেমে আসবে অনিবার্য সংকট।

(ads1)

আর তার জন্যে দরকার নিত্যনতুন কর্ম, বৃত্তি ও পেশার সঙ্গে জড়িত কর্মমুখী শিক্ষা। কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশে এখনও সেই ইংরেজ আমলে প্রবর্তিত প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতিতে কেরানি তৈরির উপযোগী সাধারণ শিক্ষার প্রাধান্যই রয়ে গেছে। ফলে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ডিঙিয়ে যারা বের হচ্ছে কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত না হওয়ায় তাদের ব্যাপক অংশেই বেকারত্বের অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছে এবং প্রচন্ড হতাশায় জীবনের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। এই কারণে যতই দিন যাচ্ছে কর্মমুখী বা বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব সবাই উপলব্ধি করছে। বিশ শতকের শেষ দশকে আমাদের দেশে কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব বিশেষভাবে উপলব্ধি করা গেছে। এটা এখন স্পষ্ট যে, বর্তমান বাস্তবতায় কর্মমুখী বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তা দেশের অগ্রগতি সাধনে যেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে তেমনি দেশে এবং দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব মোচনেও ফলপ্রসূ অবদান রাখতে সক্ষম। এতে বহু পরিবার অশান্তির হাত থেকে বাঁচতে পারে। এই শিক্ষার প্রসার ঘটলে সাধারণ ও উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে অনভিপ্রেত ভিড় হ্রাস পাবে। তাছাড়া কর্মমুখী শিক্ষা স্বকর্ম সংস্থানের নানা সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং তা ফলত দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ও দারিদ্র্য দূরীকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কর্মমুখী শিক্ষা কেবল নতুন নতুন কর্মস্থানের সুযোগ তৈরি করে না, কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের নানা ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে। সেদিক থেকে কর্মমুখী শিক্ষা জাতির অর্থনৈতিক বুনিয়াদ রচনায়ও ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করতে পারে। কর্মমুখী শিক্ষা স্বাধীন পেশা গ্রহণে ব্যক্তির আস্থা গড়ে তোলে, তাকে স্বাবলম্বী করে তোলে এবং এভাবে বিপুল সংখ্যক বেকারত্বের হাত থেকে জাতিকে বাঁচায় এবং পরমুখাপেক্ষী অবস্থায় অভিশাপ থেকে রক্ষা করে। বিজ্ঞানের বিস্ময়কর উন্নতির যুগে কর্মমুখী শিক্ষা তাই আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশেও অনিবার্যভাবে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।


আরো ও সাজেশন:-

কর্মমুখী শিক্ষার স্বরূপ : কর্মমুখী শিক্ষা যান্ত্রিক শিক্ষা নয়। জীবনমুখী শিক্ষার পরিমন্ডলেই তার অবস্থান। পরিপূর্ণ ও সামগ্রিক জীবনবোধের আলোয় বিচার করা হয় কর্মমুখী শিক্ষার ভূমিকাকে। কর্মমুখী শিক্ষা নিঃসন্দেহে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক জনশক্তি সৃষ্টি করতে চায় কিন্তু তার মানবিক গুণাবলির বিকাশের দিকটিও উপেক্ষিত থাকতে পারে না। এদিক থেকে কর্মমুখী শিক্ষার লক্ষ ত্রিমুখী:

ক. জ্ঞান জিজ্ঞাসা সৃষ্টিতে : জ্ঞান-বিজ্ঞানের অর্জনের সঙ্গে শিক্ষার্থীর পরিচয় ঘটানো, অজানাকে জানার আগ্রহ সৃষ্টি এবং সুপ্ত গুণাবলির বিকাশ ঘটানো।

খ. মূল্যবোধ সৃষ্টি : শিক্ষার্থীকে নৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় এবং মানবিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত করা এবং গণতন্ত্রমনা, যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক নাগরিক হিসেবে তাকে গড়ে তোলা।

গ. কাজে উৎসাহ সৃষ্টি : কর্মমুখী, জীবনসম্পৃক্ত, বৃত্তিমূলক, উপার্জন মনষ্ক জনশক্তি গড়ে তোলা।

এই গুরুত্বপূর্ণ তিনটি লক্ষ অর্জন করতে পারলে বাড়তি জনশক্তি হবে জনসম্পদ আর তা না হলে, আংশিক কর্মমুখী শিক্ষা মানুষকে তৈরি করবে মানবিক মূল্যবোধ বিসর্জিত নিছক যন্ত্রে।

কর্মমুখী শিক্ষার বিদ্যমান সুযোগ : আমাদের দেশে এখনও কর্মমুখী শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটে নি। ফলে প্রচলিত পন্থায় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে লাখ লাখ উচ্চ শিক্ষিত যুবক-যুবতী বেকারত্বের চরম অভিশাপ নিয়ে দুশ্চিন্তা ও হতাশায় নিমর্জিত। অথচ উন্নত দেশগুলোর শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও পেশাভিক্তিক শিক্ষায় শিক্ষিত। এমনকি এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, থাই্যোন্ড, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি দ্রুত উন্নয়নশীল দেশে কর্মমুখী শিক্ষা যথেষ্ট গরুদুত্ব পেয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর ৫ শতাংশ কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত। আর বাংলাদেশে এ হার ১ শতাংশেরও কম। এর কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি অনভিপ্রেত উপেক্ষা। এমনকি সাম্প্রতিককালে নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, অনেক কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে উন্নীতকরণের যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতেও কর্মমুখী শিক্ষার দিকটি যথেষ্ট উপেক্ষিত হয়েছে। এর ফলে অনিবার্যভাবে শিক্ষিত বেকারের সংক্যা আও বাড়ছে। অথচ যদি বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা হতো তবে অনেক তরুণ জীবন-জীবিকার নিশ্চিত অবলম্বনকে আশ্রয় করে সুখ-শান্তিময় ভবিষ্যৎ রচনা করতে সক্ষম হতো।

কর্মমুখী শিক্ষা প্রসারের প্রচেষ্টা : বাংলাদেশে কর্মমুখী শিক্ষার ক্ষেত্র যে একেবারে উন্নয়ন হয় নি তা নয়। বৃত্তিমূলক কারিগরি শিক্ষার কার্যক্রম ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেশে বিভাগ ও জেলা ভেদে প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। ২২টি মেডিকেল কলেজ ও ১টি ডেন্টাল কলেজের মাধ্যমে চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষা সম্প্রসারিত হয়েছে। এছাড়াও ৪টি প্রকৌশল ইনস্টিটিউট, অনেকগুলো পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও ভেকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, লেদার টেকনোলজি কলেজ, টেক্সটাইল টেকনোলজি কলেজ, গ্রাফিক আর্ট ইনস্টিটিউট ইত্যাদির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত ছোটখাটো কারিগরি প্রতিষ্ঠান দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ও হচ্ছে। তবে সব মিলিয়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষার যে সুযোগ এখন বিদ্যমান তা যে বিপুল জনসংখ্যার তুলায় একেবারে নগণ্য তা বলাই বহুল্য।

(ads2)

তবে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য সাম্প্রতিককালে সরকার মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরেই কর্মমুখী শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই কার্যক্রমকে বেগবান করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কারণ, মাধ্যমিক শিক্ষার ভিত্তিতেই গড়ে ওঠে দেশের শিক্ষিত জনশক্তি। ইতমধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে কর্মমুখী শিক্ষা প্রসারে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো : কৃষিবিজ্ঞান ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞানকে বাধ্যতামূলক করণ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডাবল শিফট চালু, স্কুল ও মাদ্রাসায় নবম ও দশম শ্রেণিতে বেসিক ট্রেড কোর্স চালু, ১৯৯৫ সাল থেকে সাধারণ শিক্ষা ও ভোকেশনাল শিক্ষা সমন্বয়ে এস. এস. সি. শিক্ষাব্যস্থা চালু, মাধ্যমিক স্তরে ব্যবসা ব্যবস্থাপনা শিক্ষাব্যবস্থা চালু ইত্যাদি।

কর্মমুখী শিক্ষাক্রম বাস্তমায়নের সমস্যা ও সুপারিশ : কর্মমুখী শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। প্রয়োজনীয় শিক্ষক, অন্যান্য লোকবল, শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ, আর্থিক ব্যয় সংকুলানের ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও প্রকট সমস্যা বিধ্যমান। শিক্ষকদের গুণগত মান উন্নয়নের জন্যে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তাও অনস্বীকার্য। এসব সমস্যা মোকাবেলার জন্যে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা প্রয়োজন:

১. কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু ও প্রসার করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ও মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা।

২. বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার জন্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যয় বরাদ্দ।

৩. কর্মমুখী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষকদের ভোকেশনাল শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং

৪. বৃত্তিমূলক শিক্ষা, কারিগরি এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষা কার্যক্রমে উৎসাহ তৈরির জন্যে জাতীয় প্রচার মাধ্যমে সৃজনশীল কার্যক্রম প্রচার।

উপসংহার: আমাদের দেশ বাড়তে থাকা বেকার সমস্যাসহ সামাজিক কুসংস্কার, জনসংখ্যা সমস্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত। এই প্রকট সমস্যা কাটিয়ে ওঠার অন্যতম প্রচেষ্টা হিসেবে তরুন সমাজকে উপযুক্ত গঠনমূলক ও কর্মমুখী শিক্ষা প্রদান অত্যন্ত কার্যকরী হবে। এ কাজে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি এবং তা বাস্তমায়নের জন্যে দরকার উপযুক্ত বাস্তব ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল। তাহলেই এ মহৎ প্রয়াস জাতীয় জীবনে ইতবাচক ফল বয়ে আনতে সক্ষম হবে।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

রচনা: কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব/কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব/বৃত্তিমূলক শিক্ষার কর্ম ও জীমনমূখী শিক্ষার গুরুত্ব/ আত্মকর্মসংস্থানমূখী শিক্ষার গুরুত্ব/ উৎপাদনমূখী শিক্ষার গুরুত্ব :০২

ভূমিকা : বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অসীম। সাধারণভাবে আমাদের দেশে শুধু সাধারণ শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীরা পাস করে যাচ্ছে ফলে বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হলে সরকারি চাকুরী না হলেও তারা বেকার থাকবে না। শিক্ষা সমাপ্তির পর তারা নির্দিষ্ট কাজে লেগে জাতি গঠনে এগিয়ে আসতে সাহায্য করবে।

শিক্ষার প্রকারভেদ : সাধারণ অর্থে শিক্ষা দু’প্রকার-

(ক) সাধারণ শিক্ষা

(খ) কারিগরি শিক্ষা।

(ads1)

কারিগরি শিক্ষা কি? : কর্মমুখী শিক্ষা বা কারিগরি শিক্ষা বলতে আমরা সেই শিক্ষাকে বুঝি যা ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট বৃত্তিমুখী করে তোলে। অর্থাৎ কারিগরি শিক্ষা একজন শিক্ষর্থীকে বাস্তব জীবনক্ষেত্রে একটি বিশেষ পেশার উপযোগী করে তার জীবিকা অর্জনে সহায়তা করে। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ সম্পদ লাভ করে, শিক্ষা মানুষের চিত্তের মুক্তি ঘটায়। জীবনের জন্য উভয়ই প্রয়োজন। কারিগরি শিক্ষা এ প্রয়োজন মেটাতে গভীরভাবে সাহায্য করে।

কারিগরি শিক্ষার বিভিন্ন স্তর : ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয়ে জ্ঞান লাভ ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং নির্মাণের বিদ্যা, ক্ষুদ্র যন্ত্রগুলোর উৎপাদন ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা বলতে আমরা কারিগরি শিক্ষা বুঝিয়ে থাকি। একদিক থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানও বর্তমান যুগে কিছুটা বৈজ্ঞানিক কারিগরি শিক্ষার মধ্যে পড়ে। কারণ এখানেও যন্ত্রপাতির প্রচলন রয়েছে। শিক্ষাকে জীবনমুখী করার লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রমে যথেষ্ট পরিমার্জনা করা হচ্ছে। দেশে প্রকৌশল বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছে। দেশে অনেক চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আছে অনেকগুলো পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট। এছাড়া লেদার টেকনোলজি, টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, গ্রাফিক আর্টস ইন্সটিটিউট এবং এ ধরনের আরও অনেক ট্রেনিং ইন্সটিটিউট।

বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার আবশ্যিক বিষয়সমূহ : আমাদের মত এমন দরিদ্র দেশে বড় বড় শিল্প-কারখানা ব্যাপকভাবে গড়ে তোলার সুযোগ নেই। তাই এখানে ক্ষুদ্র ও কটির শিল্প প্রতিষ্ঠা করে দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে কাজের উপযোগী করে গড়ে তোলা যায়। উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাহীনদের কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন হাতের কাজ শেখানো যেতে পারে। পাটের ব্যাগ তৈরি, নানা রকম কাগজের ফুল তৈরি, হস্ত ও মৃৎজাত শিল্প, চামড়া, স্ক্রীন প্রিন্ট, বাটিক, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের কাজ, টিভি, রেডিও, ভিসিপি, ভিসিআর, ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনিং, বই বাঁধাই, অফসেট মুদ্রণ, কম্পিউটার ইত্যাদি শিখে আজকাল বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করা যায়। এছাড়া কাঠমিস্ত্রী, রাজমিস্ত্রী, ইলেকট্রিক মিস্ত্রী, সেনিটারী ফিটিংস, ড্রাইভিং, হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদিও বৃত্তিমূলক শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করলে সাধারণ চাকরিজীবীর চেয়ে অনেক ভালভাবে জীবন-যাপন করা যায়।

কারিগরি শিক্ষার কার্যকারিতা : সাধারণ শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার লব্ধ শিক্ষাকে কাজে না লাগিয়ে অন্য কোন পেশা অবলম্বন করে শিক্ষাকে অর্থহীন প্রমাণ করা হচ্ছে। তাই সাধারণ শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে কারিগরি শিক্ষার প্রতি অনুরাগ দেখাতে হবে। দেশে বিভিন্ন পেশার মধ্যে মূল্য ও মর্যাদার যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান থাকায় শিক্ষিত লোকের দৃষ্টি থাকে উচ্চ মর্যাদার দিকে। তদুপরি বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে কারিগরি শিক্ষা ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব নয়। যন্ত্র বিজ্ঞানের এ প্রসারের যুগে আমাদের দেশেও কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক প্রবর্তন করা উচিত।

শিল্পোন্নয়ন : অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য প্রয়োজন দ্রুত শিল্পায়ন। প্রকৃত শিল্পায়নের জন্য আবার প্রয়োজন কারিগরি শিক্ষা। কারিগরি জ্ঞান না থাকলে কল-কারখানা পরিচালনার কোন যোগ্যতাই জন্মাতে পারে না। তাই সর্বাগ্রে দেশের যুবক যুবতীদের বেশি সংখ্যায় কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

প্রয়োজনীয়তা : পুঁথিগত বিদ্যা বাস্তব জীবনে কর্মক্ষেত্রের অনুপযোগী, যে কারণে জাতিগতভাবে আমরা অগ্রসর হতে পারিনি। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ যদি জনশক্তিতে রূপান্তরিত না হয় তাহলে জাতির অগ্রগতি হয় না। জাতীয় জীবনে সমৃদ্ধি আসে না। তাই বর্তমানে বিশেষভাবে প্রয়োজন কারিগরি শিক্ষার।

(ads2)

উপসংহার : আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মূলে রয়েছে বিপুল জনগোষ্ঠী। এ অবস্থায় এ বিপুল জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারলে সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ করে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা যায় এবং তা বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা যায়। সর্বোপরি কারিগরি শিক্ষা জাতিকে দিতে পারে আত্মকর্মসংস্থানের উপায়।


Honors & Degree, HSC, SSC, JSC Suggestion

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Honors & Degree, HSC, SSC, JSC Suggestion


রচনা: কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব/কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব/বৃত্তিমূলক শিক্ষার কর্ম ও জীমনমূখী শিক্ষার গুরুত্ব/ আত্মকর্মসংস্থানমূখী শিক্ষার গুরুত্ব/ উৎপাদনমূখী শিক্ষার গুরুত্ব :০৩

ভূমিকা: ‘কর্মশালার প্রবেশের দ্বার অতিক্ষুদ্র, রাজপ্রাসাদের সিংহদ্বারের ন্যায় ইহা অভ্রভেদী নহে; কিন্তু গৌরবের বিষয় এই যে, এখানে নিজের শক্তি সম্বল করিয়া প্রবেশ করিতে হয়, ভিক্ষাপাত্র লইয়া নহে।’

                         -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে শিক্ষা একটি। আর এই শিক্ষা মানুষের জীবন ও জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা শিক্ষাই মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক উন্নতির ফলে কর্মসংস্থানের ধারণা ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। নতুন নতুন কাজের দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। যার সাথে বিশেষ শিক্ষা অপরিহার্য হয়ে পড়ছে। ফলে সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কর্মমুখী শিক্ষাই অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে।

কর্মমুখী শিক্ষা: কর্মমুখী শিক্ষা এমন এক ধরণের শিক্ষাব্যবস্থা, যা গ্রহণ করলে শিক্ষার্থীরা ঘরে-বাইরে, ক্ষেতে-খামারে, কলে-কারখানায় যেকোনো কাজে বা পেশায় অতি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার যোগ্যতা লাভ করে। কর্মমুখী শিক্ষার ধারণা মূলত পেশাগত কর্মের সাথে সম্পৃক্ত। এই শিক্ষা এক ধরণের বিশেষায়িত শিক্ষা, যা শিক্ষার্থীর কর্মদক্ষতা সৃষ্টি করে এবং শিক্ষার্থীকে সৃজনশীল ও উৎপাদনমুখী করে তোলে।

কর্মমুখী শিক্ষার স্বরূপ: কর্মমুখী শিক্ষা যান্ত্রিক শিক্ষা নয়। এর কাজ জনশক্তিকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে সমাজের শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। কর্মমুখী শিক্ষা মূলত চতুর্মুখী নীতি নিয়ে আবির্ভূত। এগুলো হলো-

-জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে শিক্ষার্থীকে পরিচয় করানো এবং তার সুপ্ত গুণাবলীকে জাগ্রত করা।

-শিক্ষার্থীকে নৈতিক, সামাজিক এবং মানবিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত করা।

-গণতন্ত্রমনা, যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক নাগরিক হিসেবে তাকে গড়ে তোলা।

-কর্মক্ষমতা সৃষ্টি করে তাকে কর্মমুখী ও উপার্জনমূলক জনশক্তিতে রূপান্তর করা।

গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা: জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের সীমিত সম্পদের উপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও ইংরেজদের প্রবর্তিত সাধারণ শিক্ষা মানুষের কর্মসংস্থানের পরিমিত সুযোগ করে দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে শিক্ষিত বেকার ও তাদের মধ্যে হতাশা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। পক্ষান্তরে, কর্মমুখী শিক্ষা এনে দিচ্ছে বিপুল সুযোগ আর অবারিত সম্ভাবনা। এতে রয়েছে আত্মকর্মসংস্থানের নানা সুযোগ, যা দারিদ্র্য দূরীকরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কর্মমুখী শিক্ষা স্বাধীন পেশা গ্রহণে ব্যক্তির অবস্থা গড়ে তোলে এবং তাকে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করে। বেকারত্বের সমস্যা সমাধানে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাই কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আর এই কর্মমুখী শিক্ষার উপর যতো বেশি গুরুত্বারোপ করা হবে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ততো ত্বরান্বিত হবে। এ শিক্ষার মধ্যে দিয়েই দেশের অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন সম্ভব।

কর্মমুখী শিক্ষার প্রকারভেদ: কর্মমুখী শিক্ষা বিবিধ হতে পারে।

প্রথমতঃ ডাক্তার, প্রকৌশলী এবং কৃষিবিদ প্রভৃতি যারা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে কাজ করে। তারা তাদের ইচ্ছামতো স্বাধীন পেশায় নিয়োজিত হয়।

দ্বিতীয়তঃ কর্মমুখী বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা। এখানে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির প্রয়োজন হয় না। প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষাই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। এ জাতীয় শিক্ষার মধ্যে হাঁস-মুরগী পালন, কুটির শিল্প, মৎস্য চাষ, নার্সারি, ধাত্রীবিদ্যা, কাঠমিস্ত্রির কাজ, সেলাই কাজ, ছাপাখানার কাজ, দর্জির কাজ, শ্রমিকের কাজ, বিদ্যুতের কাজ, বই বাঁধাই, ওয়েলডিং-এর কাজ, টেলিভিশন- বেতার- মোটর মেরামতের কাজ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা: আমাদের দেশে আগেও যে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল বর্তমানেও সেই প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা রয়ে গেছে। গতানুগতিক গ্রন্থগত বিদ্যা আমাদের মস্তিষ্কে চেপে বসেছে এবং আমরা এখনও সেই ব্রিটিশদের কেরানী বানানোর শিক্ষা নিয়ে বেঁচে আছি। বর্তমান বিশ্ব আধুনিক প্রযুক্তি ও কলাকৌশল আবিষ্কার করছে অথচ আমরা এর থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। তাই এই প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষার প্রবর্তন করা হলে বেকারত্বের হার কমবে এবং অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব হবে তদুপরি জীবনযাত্রার মানে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে।

(ads1)

বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষাব্যবস্থা: বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিকল্পিত ও কর্মমুখী। কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার ফলে আজ আমেরিকা, জাপান, ব্রিটেন, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশ নিজেদের জীবনমানকে সুপ্রসন্ন করেছে। তারা আজ কর্মের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে নিজেদের ভাগ্য বদলে নিয়েছে। এই বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মমুখী শিক্ষা চালু করে তারা আজ উন্নতির শিখরে আরোহণ করেছে।

কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি: আমাদের এই দেশ অনেক দিক থেকেই পশ্চাদপদ ও অনগ্রসর। বিশেষত, শিক্ষা-দীক্ষা ও বিজ্ঞান প্রযুক্তির দিক থেকে। তাই যথাযথ জ্ঞানের অভাবে আমাদের দেশে বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থাকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এটি আমাদের উন্নতির অন্তরায়। আমাদের দেশের শিক্ষিত, উচ্চবিত্ত শ্রেণি, এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণিরাও এ শিক্ষার প্রতি তেমন আগ্রহ দেখায় না। তাই প্রথমত এ ধরণের মানসিকতা দূর করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কর্মমুখী শিক্ষা যে অধিক তাৎপর্যপূর্ণ ও উপকারী সেই সচেতনতা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। যা আমাদের ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে অগ্রগতি ও উন্নতির অন্যতম নিয়ামক।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার: একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশে কর্মমুখী শিক্ষার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়াও পলিটেকনিক ও ভোকেশনাল, গ্রাফিক্স আর্ট, লেদার ও টেক্সটাইল টেকনোলজি কলেজ, ভেটেরনারি কলেজ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়াও হোটেল ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ সাজ সজ্জা, উদ্যান পরিচর্যা, সূচিশিল্প, মুদ্রণ, মৎস্য চাষ, গবাদীপশু ও হাঁস-মুরগী পালন, কম্পিউটার চালনা, কুটির শিল্প প্রভৃতি ধীরে ধীরে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। এতে কর্মমুখী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটছে।

কর্মমুখী শিক্ষার উপকারিতা: কর্মমুখী শিক্ষার নানা উপকারিতাও রয়েছে। এগুলো হলো-

-কর্মমুখী শিক্ষার ফলে বেকারত্ব লাঘব হয়।

-আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়।

-ব্যক্তিস্বাধীনতা অক্ষুন্ন থাকে।

-সাধারণ শিক্ষার প্রতি চাপ কমে।

-জীবনে হতাশা, শূন্যতা ও ব্যর্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

-নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

কর্মমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নের সমস্যা: কর্মমুখী শিক্ষা ব্যক্তিগত অথবা জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এর বাস্তবায়নের পিছনে কিছু সমস্যাও বিদ্যমান রয়েছে। যেমন:-

-পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার অভাব।

-প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক, লোকবল সংস্থান, শিক্ষার উপকরণ ও আর্থিক ব্যয় সংকুলানের ব্যবস্থার অভাব।

-গুণগত মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের অভাব।

-সরকারি পদক্ষেপের অভাব।

কর্মমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নে কতিপয় সুপারিশ: কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে নিন্মোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন- কর্মমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়াতে হবে, এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধন করতে হবে, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করতে হবে। শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে, শিক্ষার ব্যয় সংকুলনে অর্থ সংস্থানের পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বোপরি সরকারি পদক্ষেপকে আরো জোরদার করতে হবে।

উপসংহার: কর্মমুখী শিক্ষার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির ফলে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এটি জীবিকার সন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানের তরুণ সমাজকে এই গঠনমূলক ও কর্মমুখী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহ সৃষ্টি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য দরকার উপযুক্ত সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

Paragraph & Composition Full Links

রচনা ,প্রবন্ধ উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ উত্তর লিংক
আবেদন পত্র উত্তর লিংক অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক
চিঠি ও ইমেল উত্তর লিংক প্রতিবেদন উত্তর লিংক
Paragraphউত্তর লিংক Compositionউত্তর লিংক
Applicationউত্তর লিংক Emailউত্তর লিংক
Essayউত্তর লিংক Letterউত্তর লিংক

ভাবসম্প্রসারণ, রচনা, প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ রচনা

ভাবসম্প্রসারণ

ভাবসম্প্রসারণউত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণউত্তর লিংক
এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার
ভূরিভূরি রাজার হস্ত করে
উত্তর লিংককরিতে পারি না কাজ সদা ভয়, সদা লাজ সংশয়ে উত্তর লিংক
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির
কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী
উত্তর লিংক আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি
উত্তর লিংক
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যুউত্তর লিংকসঙ্গ দোষে লোহা ভাসে উত্তর লিংক
জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমানউত্তর লিংকএকতাই বল, একতাই বল উত্তর লিংক
প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম গোত্র
হীন ফুটিয়াছে ফুল এক অতিশয় দীন। 
উত্তর লিংকক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি
উত্তর লিংক
বৈরাগ্য-সাধনে মুক্তি, সে আমার নয় অসংখ্য উত্তর লিংক নিজেকে জানো উত্তর লিংক
ভােগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশউত্তর লিংক পিতামাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি যতনে মানিয়া চল তাহাদের বাণীউত্তর লিংক
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবেউত্তর লিংক নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশাউত্তর লিংক
লাইব্রেরি জাতির সভ্যতা ও উনড়বতি মানদণ্ডউত্তর লিংক পুষ্প আপনার জন্য ফোটে নাউত্তর লিংক
 প্রত্যেকে আমরা পরের তরেউত্তর লিংক প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনকউত্তর লিংক
দুর্নীতি জাতির সকল উন্নতির অন্তরায়উত্তর লিংক শিক্ষার্থী শিক্ষকের মানস সন্তানউত্তর লিংক
দুর্নীতি জাতীয় জীবনে অভিশাপস্বরূপউত্তর লিংক কীর্তিমানের মৃত্যু নেইউত্তর লিংক
মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয়উত্তর লিংক আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্যউত্তর লিংক
শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আত্মশক্তি অর্জনউত্তর লিংক গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন নহে বিদ্যা, নহে ধন, হলে প্রয়োজনউত্তর লিংক
পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জনউত্তর লিংক সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরেউত্তর লিংক
যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাইউত্তর লিংক মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন বিলাস নহেউত্তর লিংক
রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসেউত্তর লিংক মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয় আড়ালে তার সূর্য হাসেউত্তর লিংক
দুজন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্যউত্তর লিংক সমবায়ে উন্নয়নউত্তর লিংক
উত্তর লিংক উত্তর লিংক
উত্তর লিংক উত্তর লিংক
উত্তর লিংক উত্তর লিংক
উত্তর লিংক উত্তর লিংক
উত্তর লিংক উত্তর লিংক
উত্তর লিংক উত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ

রচনা

রচনা উত্তর লিংক রচনা উত্তর লিংক
মুজিব বর্ষ সম্পর্কে
একটি অনুচ্ছেদ লিখুন
উত্তর লিংক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধউত্তর লিংক
স্বাধীনতার ৫০ বছর আমাদের
প্রত্যাশা প্রাপ্তি ও করণীয়
উত্তর লিংক মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও
মানবিক মূল্যবােধ
উত্তর লিংক
করোনা ভাইরাসউত্তর লিংক আত্মকর্মসংস্থানে
অর্জিত জীবন দক্ষতা
উত্তর লিংক
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও করোনাভাইরাসউত্তর লিংক মাদকাসক্তি ও তার প্রতিকারউত্তর লিংক
বাংলাদেশের বেকার সমস্যা
ও তার প্রতিকার
উত্তর লিংক বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশউত্তর লিংক
নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধউত্তর লিংক ইসলামের অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধুউত্তর লিংক
নগরজীবনউত্তর লিংক রোহিঙ্গা সমস্যা ও প্রতিকারউত্তর লিংক
বাংলাদেশের নগরায়নউত্তর লিংক সাইবার অপরাধউত্তর লিংক
আমাদের মানব কীভাবে সম্পদ হবেউত্তর লিংক অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশউত্তর লিংক
শারীরিক ও মানসিক বিকাশে
খেলাধুলার ভূমিকা
উত্তর লিংক দুর্যোগ মোকাবেলায়
বাংলাদেশের সক্ষমতা
উত্তর লিংক
শিশুর বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেইউত্তর লিংক পরমাণু যুগে বাংলাদেশউত্তর লিংক
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসউত্তর লিংক খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তাউত্তর লিংক
২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসউত্তর লিংক১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসউত্তর লিংক
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী রচনারউত্তর লিংক বাংলাদেশের গণহত্যাউত্তর লিংক
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীউত্তর লিংক স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী ৫০ বছরউত্তর লিংক
মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুউত্তর লিংক বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলনউত্তর লিংক
জনসংখ্যার অভিশাপকে আশির্বাদে রূপান্তরউত্তর লিংক শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধুউত্তর লিংক
সার্ক / SAARCউত্তর লিংক কর্মমুখী বা বৃত্তিমূলক শিক্ষাউত্তর লিংক
সমবায় / সমবায় আন্দোলনের গুরুত্বউত্তর লিংক আত্মকর্মসংস্থানমূখী শিক্ষাউত্তর লিংক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শউত্তর লিংক উৎপাদনমূখী শিক্ষাউত্তর লিংক
আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর প্রভাবউত্তর লিংক কারিগরি শিক্ষাউত্তর লিংক
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও তার প্রতিকারউত্তর লিংক সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি
করাই হল শিক্ষা
উত্তর লিংক
শিশু অধিকারউত্তর লিংকপদ্মা সেতুর উত্তর লিংক
স্বদেশপ্রেমউত্তর লিংকদেশপ্রেমউত্তর লিংক
জাতীয় জীবনে দেশপ্রেমের গুরুত্বউত্তর লিংকমাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসাউত্তর লিংক
স্বদেশের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যউত্তর লিংক মাতৃভূমির প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যউত্তর লিংক
স্বদেশ প্রেম ও বিশ্বপ্রেমউত্তর লিংকবাংলা কাব্যে স্বদেশপ্রেমউত্তর লিংক
মানবকল্যাণে বিজ্ঞান রচনাউত্তর লিংকমানবকল্যাণে বিজ্ঞানের অবদানউত্তর লিংক
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানউত্তর লিংকআধুনিক জীবন ও বিজ্ঞানউত্তর লিংক
বিজ্ঞান ও বর্তমান প্রযুক্তিউত্তর লিংকদৈনন্দিন কাজে বিজ্ঞানউত্তর লিংক
বিজ্ঞানের জয়যাত্রাউত্তর লিংকবিজ্ঞান ও আধুনিক জীবনউত্তর লিংক
পরিবেশ দূষণউত্তর লিংকপরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকারউত্তর লিংক
পরিবেশ দূষণ ও নিয়ন্ত্রণউত্তর লিংকপরিবেশ দূষণ ও বাংলাদেশউত্তর লিংক
পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যউত্তর লিংকপরিবেশ ও জীবনউত্তর লিংক
পরিবেশ দূষণ রোধের উপায়উত্তর লিংকআমাদের পরিবেশ সমস্যাউত্তর লিংক
পরিবেশ সংরক্ষণউত্তর লিংকমানব জীবনে পরিবেশের প্রভাবউত্তর লিংক
বাংলাদেশের পরিবেশ সমস্যা সমাধানউত্তর লিংকবঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশউত্তর লিংক
শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডউত্তর লিংকবঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশউত্তর লিংক
ডিজিটাল বাংলাদেশউত্তর লিংকজাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশউত্তর লিংক
মুজিব শতবর্ষউত্তর লিংকলকডাউনউত্তর লিংক
লকডাউন ও মানসিক অবসাদউত্তর লিংকশিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গুরুত্বউত্তর লিংক
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তিরউত্তর লিংককারিগরি শিক্ষার গুরুত্বউত্তর লিংক
আত্মকর্মসংস্থানমূখী শিক্ষার গুরুত্বউত্তর লিংককর্ম ও জীমনমূখী শিক্ষার গুরুত্বউত্তর লিংক
বৃত্তিমূলক শিক্ষারউত্তর লিংককর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্বউত্তর লিংক
উৎপাদনমূখী শিক্ষারউত্তর লিংকউত্তর লিংক
উত্তর লিংকউত্তর লিংক
উত্তর লিংকউত্তর লিংক
উত্তর লিংকউত্তর লিংক
উত্তর লিংকউত্তর লিংক

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.