ব্রিটিশ রানির মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রিয় শোক পালনের মতো এমন কি করেছেন.?
তিনি আমাদের রাষ্ট্রের জন্য এমন কি করেছেন যে তিন দিনের রাষ্ট্রিয় শোক পালন করতে হবে।
তারা এই ভারতীয় উপমহাদেশকে শোষণ করে পৃথিবীর অন্যতম ধনী রাষ্ট্র থেকে দরিদ্র বানিয়ে দিয়েছে। যা এখনো চলমান।
ভারতবর্ষ থেকে লুট করা মণি-মাণিক্য-হীরা-জহরত পরিহিতা বর্তমান পৃথিবীর শেষ সম্রাজ্ঞী। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিরা কোহিনূর, যা রানীর মুকুটে শোভা পেয়েছে, সেইটাও আমাদের মোগল সম্রাটদের।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যখন ভারতীয়রাও ব্রিটিশদের হয়ে লড়ছে তখন সামরিক প্রয়োজনের অজুহাত দেখিয়ে ব্রিটিশরা ভারত বিশেষ করে বাংলা থেকে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য সরিয়ে নেয়।
,
খাদ্যশস্যের অভাবে তখন বাংলায় যে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় তা ইতিহাসে তেতাল্লিশের মন্বন্তর নামে পরিচিত। সেই মন্বন্তরের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ মারা যায। তখন বাংলার জনসংখ্যা ছিল ছয় কোটির মতো। সেই হিসেবে প্রায় প্রতি ১৫ জনের ভেতর একজন মারা যায়। এটা অবিশ্বাস্য বড় রকমের একটা গণহত্যা।
,
ব্রিটিশরা আসার আগে মুসলিম শাসনামলে বাংলা মূলকে কখনো দুর্ভিক্ষ হয়নি। কেননা মুসলিম শাসকরা কোন মৌসুমে ফসল বেশি হলে সেটা জমিয়ে রাখতেন খরার সময় বিলি করার জন্য।
,
কিন্তু ব্রিটিশরা আসার পর প্রতি দশকে একটা করে বড় দুর্ভিক্ষ হতো। কেননা তারা সব ফসল ব্রিটেনে পাচার করে দিত। এই বাড়তি ফসলের বদৌলতে তারা নিজেদের দেশে সফলভাবে শিল্প বিপ্লব ঘটিয়েছিল।
,
ব্রিটিশরা আসার আগে ভারতে কখনো হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হয়নি। নিজেদের শাসন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে তারা কৌশলে হিন্দু মুসলমান বিভেদ সৃষ্টি করে। সেই বিষে ভারত বর্ষ এখনো জ্বলছে।
,
ব্রিটিশরা আসার আগে ভারতীয় উপমহাদেশ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ধনী জনপদ। পৃথিবীর এক চতুর্থাংশ জিডিপির অধিকারী ছিল ভারতীয়রা। ব্রিটিশদের ২০০ বছরের সীমাহীন শোষণে ভারতবর্ষ হয়ে যায় বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র জনপদ।
,
রানী এলিজাবেথ ছিলেন এই ভয়ানক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কর্ণধার। তাই তার মৃত্যুর সারা দুনিয়া, মিডিয়া, সভ্য ইউরোপ তার জন্য মায়া কান্না করবে আর তার মহানত্ব ঘোষণা করবে এটাই স্বাভাবিক। ইতিহাস ভুলে গিয়ে বেকুব বাঙালীও হয়তো সেই মহাশোকে যোগ দেবে।
ব্রিটিশ রানীর জন্য আপনাদের এই কান্না দেখে
মাষ্টার দা সুর্যসেন, প্রীতিলতা, তিতুমীর, , সুশীল দাশ, নবাব সিরাজউদ্দোলা, ক্ষুদিরামরা শোকাহত।