'হাওয়া' চলচ্চিত্রের প্রথম দিনের প্রথম প্রদর্শনী দেখতে গিয়েছিলেন দলের সঙ্গে। সিনেমা শেষ করেই অভিনয়শিল্পীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া সুনেরাহ বিনতে কামাল।
সুনেরাহ বিনতে কামাল যে চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হয়েছিলেন সেটিও সমুদ্রকে কেন্দ্র করে। হাওয়া চলচ্চিত্রটিতে উঠে এসেছে গভীর সমুদ্রে মাছধরা জেলেদের লড়াই করে টিকে থাকার সংগ্রাম।
আর সুনেরা অভিনীত ন'ডরাই চলচ্চিত্রটিও ছিল নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে একজন নারীর সার্ফার হয়ে ওঠার সংগ্রাম।
সুনেরাহ হাওয়ায় মেলে দিলেন শাড়ির আঁচল
আজ শুক্রবার বিকেলে কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে সুনেরাহ বললেন, ‘আমি অভিভূত তুষির অভিনয় দেখে। ও এত ভালো, এত ভালো করেছে, আমি সত্যিই মুগ্ধ। যদিও জানি মেজবাউর রহমান সুমন ভাই যাকে কাস্ট করবেন সে ভালো করবেই- অর্থাৎ তাঁকে ভালো করাবেনই। তার পরেও তুষির এই অভিনয় দেখে খুবই ইমপ্রেসড। ’
অভিনেত্রী সুনেরা বিনতে কামাল পুরো চলচ্চিত্র দেখে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন। সিনেমার গল্প তাঁর ভীষণ পছন্দ হয়েছে বলে জানালেন। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় তাঁকে আনন্দের নতুন মাত্রা দিয়েছে জানিয়ে বললেন, ‘চঞ্চল ভাই তো আউটস্ট্যান্ডিং। তার অভিনয় নিয়ে তো বলার মতো নতুন কিছু নেই। আর এখানে তিনি আরো অবাক করেছেন। বাকিদের অভিনয় আমি দেখেছি আর অবাক হয়েছি। অদ্ভুত একটা সিনেমা হয়েছে। না দেখলে বোঝা যাবে না। ’
সুনেরাহ বিনতে কামাল হাওয়া চলচ্চিত্রের পোস্টার আঁকানো শাড়ি পরে সিনেমাটি দেখতে যান। সিনেমার প্রচারেও অংশ নিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রথম প্রদর্শনীতে যাওয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আর এই শাড়ি আমাকে উপহার দিয়েছে আমার বন্ধু, যে কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছে। ’
'হাওয়া'র পোসাটার আঁকানো ছাপের শাড়ি পরে প্রদর্শনীতে গিয়েছিলেন সাফা কবিরও। সুনেরাহ ও সাফা একসঙ্গে
মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম ছবি ‘হাওয়া’। রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাসহ দেশের ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। সুমন আগে ছোট পর্দায় কাজ করেছেন, বানিয়েছেন অনেক বিজ্ঞাপন। তবে সুমনের জন্য বড় পর্দার পরীক্ষা এই প্রথম।
সিনেমার গল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটা মিস্ট্রি-ড্রামা ঘরানার গল্প। বাস্তবতার গল্প হলেও শেষে গিয়ে রূপকথার গল্প হয়ে ওঠার ব্যাপার আছে। বলতে পারেন, ছবিটি দেখতে বসে দর্শক একটি জার্নির মধ্য দিয়ে যাবেন। গল্পটিকে নতুন আঙ্গিকে দর্শকের সামনে আনার চেষ্টা করেছি। এতটুকুই। ’
মাঝসমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি মাছ ধরার ট্রলারে আটকে পড়া আট মাঝিমাল্লা ও এক রহস্যময় বেদেনিকে ঘিরে হাওয়ার গল্প। দীর্ঘ দুই বছর গবেষণা শেষে ২০১৯ সালের অক্টোবরে গভীর সমুদ্রে ছবিটির শুটিং শুরু হয়। ওই বছরের নভেম্বরেই শেষ হয় শুটিং।