সুচিত্রা কন্যা মুনমুন সেনের অন্তর্বাস পরা ছবি টেক্কা দেবে বলিউডের হট অভিনেত্রীদের!
সুচিত্রা সেনের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে কখনোই তেমন ছাপ ফেলতে পারেননি শ্রীমতী সেন। কিন্তু ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলা আর টানটান ফিগারের জন্য সব সময়েই লাইমলাইটে থেকেছেন তিনি। বর্তমানে মেয়ে রাইমা সেন অভিনয়ে অনেকটা পরিনত হলেও শরীরী উত্তাপ ছড়াতে পারেননি মায়ের মত। নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কার কথা বলছি।
মুনমুন সেন, নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে আসে সেই আভিজাত্য আর ইংরিজি মেশানো গলার আওয়াজ। ১৯৮৪ সালে মুনমুনের প্রথম ছবি ” আন্দর বাহার” মুক্তি পায়। তারপর একে একে জাল,বিষকন্যা, শিসা, যুগপুরুষ এর মত হিন্দী সিনেমায় দেখা মিলেছে মুনমুনের। বাংলায় ব্যবধান, অঞ্জলী, সহ আরো নানান ছবি। শুধু বাংলা হিন্দি নয় তেলেগু, মালয়ালম, ইংরিজি সহ ৪০ টির বেশী ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
দার্জিলিঙে লোরেটো স্কুল থেকে পড়াশোনা এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে মাস্টার্স। উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডেও গেছিলেন মুনমুন। বালিগঞ্জের একটি ইনস্টিটিউশনে স্পোকেন ইংলিশ শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। সেই মেয়ের অভিনয় জগতে প্রবেশ বিয়ের পর। ত্রিপুরার রাজ পরিবারের পুত্রবধূ মুনমুন সেই সময়ের একজন অন্য ধারার অভিনেত্রী। বিকিনি শুট বা খোলামেলা পোশাক সব কিছুতেই সাবলীল ছিলেন তিনি। তার সেই সময়কার সাহসী ছবিগুলি এখনও একটা সেনসেশন।
মুনমুনের ব্যক্তিত্বে সব সময়েই ধরা পড়েছে একটা ভিন্ন স্বাদের ইমেজ। অনেকেই মনে করেন তার সেই বিকৃত উচ্চারণ আর স্বভাবের জন্যই কাজ করতে পারেননি সিনেমায়। বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হিসেবে ছিলেন মুনমুন। এখন অবশ্য তেমন সক্রিয় দেখা যায় না তাকে।