বেকারত্বের যন্ত্রণা ভুলে সুন্দরবনের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে ‘অক্সিজেন ম্যান’ সৌমিত্র
সুন্দরবনের গােসাবা , পাশে দাঁড়াতে না পারি তাহলে আর কি হল! তাই ব্লকের বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলির বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য। দারিদ্র্যপীড়িত দুর্গম এলাকার মানুষদের শারীরিক সংক্রান্ত সমস্যায় একমাত্র ভরসা এক যুবক। কিছু সমস্যায় বিনামূল্যে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার কথা সুন্দরবনের মানুষের বিপদে আপদে বসে থাকেন। ভেবেছিলাম।'
তিনি। সাইকেল নিয়েই পৌঁছে গিয়েছেন এক দ্বীপ। প্রথমে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের থেকে আরেক দ্বীপে। অসুস্থ মানুষের পাশে সহায়তায় প্রথমে কিছু ওষুধ এবং রক্তচাপ ও দাঁড়িয়ে যথাসম্ভব সাহায্যও করেছেন। বিশেষ সুগারের মাত্রা মাপার যন্ত্র জোগাড় করেন তিনি। করে করােনা আক্রান্ত মুমুর্ষ রােগীদের ফোন। সাইকেল নিয়েই ছুটে চলেন এক প্রান্ত থেকে এলেই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর নিয়েই হাজির আরেক প্রান্ত।
অসুস্থদের বাড়িতে পৌঁছে। হতে দেখা যায় তাঁকে। সাইকেলের কেরিয়ারে শারীরিক পরীক্ষা করার পর নিজেই বিনামূল্যে কনসেনট্রেটর নিয়ে ছুটে চলেন দ্বীপের এ প্রান্ত ওষুধ দিতেন সৌমিত্র। প্রয়ােজনে চিকিৎসকদের থেকে ও প্রান্ত। ঠিক সময় মুমুর্য রােগীদের কাছে। পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন অনেককে। কিন্তু করােনা পরিস্থিতি শুরু হতেই অনেককেই। বছর উনত্রিশের এই যুবক আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয় সুন্দরবনে। সুন্দরবনের ‘অক্সিজেন ম্যান' হিসেবেই পরিচিত। মুমুর্য করােনা আক্রান্তদের জন্য সম্প্রতি একটি তাঁর নাম সৌমিত্র মণ্ডল। থাকেন গােসাবার বালি অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের ব্যবস্থা করেন ৫ নম্বর গ্রামে। সৌমিত্র। প্রয়ােজনের সময় অক্সিজেন পৌছে |
চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে শৈশব দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন সুন্দরবনের শতাধিক কেটেছে সৌমিত্রর। ফলে পড়াশােনা টিকিয়ে রাখ মানুষকে। অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর নিয়ে তে অভাবের সংসার ছেড়ে থাকতে হয়েছে। সাইকেলে করে দ্বীপ চষে বেড়ানাে বছর। আত্মীয়দের বাড়িতে বাড়িতে। কিন্তু দারিদ্র্যকে হার মাঝামাঝি। তবে অভাবী পড়ুয়াদের বাড়িতে গিয়ে সময় তিনি জানতে পারেন ডায়াবেটিস আক্রান্ত উনত্রিশের এই যুবক এখন ‘অক্সিজেন ম্যান মানিয়েই ভূগােল নিয়ে তিনি সাম্মানিক স্নাতক বিনামূল্যে পড়ানাের কাজ বন্ধ রাখেননি সৌমিত্র। বহু মানুষ রয়েছেন সুন্দরবনে।
কিন্তু একেবারে হিসেবে পরিচিত গােটা সুন্দরবন জুড়ে। সৌমিত্র হন। পরে বি-এডও করেন। সুন্দরবনের কিন্তু কোনও চাকরি পাচ্ছিলেন না তিনি। প্রত্যন্ত দ্বীপ এলাকায় বসবাস করায় ঠিকঠাক বলেন, “আর্থিক সংকট রয়েছে এটা সত্যি। কিন্তু দ্বীপাঞ্চলের এহেন শিক্ষিত যুবক একটি হাইস্কুলে বেকারত্বের যন্ত্রণা প্রতিনিয়ত তাঁকে কুরে কুরে খে চিকিৎসা পাচ্ছিলেন না তাঁর। সৌমিত্র জানান, তাই বলে সুন্দরবনের মানুষের পাশে দাঁড়াতে অতিথি শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন।
সেই চিন্তা থেকেই এক সময় ডায়াবেটিসে সুন্দরবনের বহু মানুষ আজও ঠিকঠাক চিকিৎসা পিছপা হয়নি। সাইকেল নিয়েই পৌঁছে গিয়েছি। | কিন্তু সেই কাজও চলে যায় ২০১৯-এর আক্রান্ত হয়ে পড়েন সৌমিত্র। চিকিৎসা করানাের পান না। আমরা যদি পড়াশােনা শিখেও তাঁদের তাঁদের দুয়ারে।'