খেলোয়াড় না দর্শক।
করার আগে আমরা কিন্তু দর্শকই ছিলাম।আমরা সারাদিন ফেসবুকে সময় দিতাম, অন্যের প্রোফাইলে গিয়ে উকি দিতাম, খোশগল্প করে কাটিয়ে দিতাম ঘন্টারপর ঘন্টা সময়। আমরা এভাবেই অভ্যস্ত ছিলাম।
দর্শক হয়ে থাকার অনেক মজা তাইনা?
কোন কিছুতেই নিজের উপর কোন চাপ নেই।একজন দর্শকের দেখার উপর তেমন কিছু নির্ভর করেনা।হারা জেতার কোন দায় একজন দর্শকে উপর কখনো বর্তায় না।
একজন খেলোয়াড় বা অভিনেতা বা গায়ক কিন্তু দর্শকের বিপরীত দিকে অবস্থান করছেন। অর্থাৎ তারাই হচ্ছে প্রধান আকর্ষণ।
একজন খেলোয়াড় যখন ভালো করে তখন তাকে নিয়ে কত হইচই।খারাপ করলে কতো গালাগালি।
দশ মিনিট রাইটিং পোস্টেও দর্শক এবং খেলোয়াড় রয়েছে। আজ যারা দর্শক তারাই হয়তো কালকের খেলোয়াড়। দর্শক হিসেবে জীবন না কাটিয়ে দিয়ে খেলোয়াড় হয়ে জীবন কাটানোই শ্রেয়।
মাঠে যখন খেলোয়াড়রা খেলে তাদের সংখ্যা বরাবরই দর্শকের সংখ্যার চেয়ে কম হয়। দর্শকের সংখ্যা বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।তারা নিজেরা তেমন কিছু করতে পারবেনা অথচ আপনার ভুলটা ঠিকই ধরতে পারবে।আপনাকে নিয়ে ঠিকই সমালোচনা করতে পারবে।
আবার খেলোয়াড় যখন জিতে যাবে তখনও কিন্তু দর্শক তার পল্টিবাজি দায়িত্বই পালন করবে। আপনার কাজের প্রশংসা করবে। আপনাকে অভিনন্দন জানবে।
এটাই হয়তো জগতের নিয়ম।
দর্শক কি ভাবলো সেটা আমাদের দেখার বা ভাবার বিষয় হতে পারেনা। আমরা খেলোয়াড় হতে চাই। জয়ী হতে চাই।
বাংলাতে নিজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য দশ মিনিট রাইটিং পোষ্টের বিকল্প নেই।
রাজিব স্যারের মহৎ ধান্দাবাজির জয় হোক।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি আপনাদের রিকা আপু।