বাংলাদেশের নদী___
বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। সুজলা সুফলা সোনার বাংলার চারপাশে ঘেরা অসংখ্য ছোট বড় নদী।
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা সহ অনেক নদী আমাদের দেশের চারদিকে বিরাজমান।
আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে
পাড় হয়ে যায় গরু,পার হয় গাড়ি
দুই ধার উঁচু তার ঢালু তার পাড়ি!!__
কবি গুরু রবিন্দ্রনাথের বিখ্যাত ছোট কবিতা।
অনেক কবি সাহিত্যিক নদী নিয়ে রচনা করেছেন ছড়া গান, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ।
আমাদের দেশ নদী মাতৃক, আমাদের জীবনেট সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে আছে এসকল নদী। যাতায়াত, জীবিকা বিভিন্ন দিক থেকে আমরা নদীর উপর নির্ভরশীল।
আমাদের নদী সমূহ হলো মৎস্য সম্পদের ভান্ডার, যা দেশের খাদ্যচাহিদা ছাড়াও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য জরুরী।
যাতায়াতের জন্য নদী অন্যতম মাধ্যম। দেশের মধ্যে ছাড়াও দেশের বাইরে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে নদী যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।
এদেশের নদীতে জমা পলি আমাদের উর্বর জমির অন্যতম কারণ।
আমাদের কর্ণফুলীর নদীর তীরে বাধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
এদেশের নদী যেমন আমাদের বেচে থাকার অবলম্বন ঠিক তেমনি ভাবে জীবন নাশকও।
ভরা মৌসুমে নদীত প্রবল স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম, বাড়িঘর, মানুষ। নদীভাংগনের ফলে বহু গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে, অগণিত মানুষ হয়েছে ভিটেমাটি ছাড়া।
তবুও নদী আমাদের জীবনের অন্যতম অংশ।
তোমার আমার ঠিকানা
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা......