বাঙ্গালী হয়ে বাংলা টাইপ করতে পারিনা এটা বলতে লজ্জা করলেও আজ স্বীকার করতে কষ্ট নাই যে এখন আমি আগের চেয়ে ভালো বাংলা টাইপ করতে পারি।
শুরুতে কোন অক্ষর কোথায় আছে এটা খুজতে খুজতে সময় চলে যেত। এখন আলহামদুলিল্লাহ অাঙ্গুলই চলে যায় ঐ অক্ষরের কাছে। এটাই কি কম পাওয়া নাকি??
ছোটবেলায় বাড়ির অভিভাবকরা জোরে শব্দ করে পড়াটাকেই পড়া মনে করত। মনে মনে পড়াটাকে পড়া ফাকি দেয়া ধরা হতো।
তখন বয়সটাই ছিলো ফাঁকি দেয়ার বয়স। কিন্তু এখনতো বড় হয়েছি তাই পড়ার ধরণটাও পাল্টে গেছে।
এইচ এস সি পরীক্ষার আগে হাতে পাই সমরেশ মজুমদারের সাতকাহন বইটি। সেই থেকেই শুরু হলো মনে মনে পড়া। উপন্যাস বা গল্পের বই বা পত্রিকা জোরে শব্দ করে পড়া যায়না।
জোরে শব্দ করে পড়তে গেলে দুইটা কাজ হয় প্রথমে চোখ দিয়ে দেখতে হয় তারপর মুখ দিয়ে শব্দ করে উচ্চারণ করে পড়তে হয়। এবং সময়ের একটা বড় ব্যাপারতো আছেই।
কম সময়ে পড়তে পারার স্কিল তৈরি করাও এই দশ মিনিট রাইটিং পোষ্টের উদ্দেশ্য।
আমার বরাবরই ছোট গল্প বা ছোট লেখা পড়তে ভালো লাগেনা বড় লেখা আমাকে বরাবরই টানে। আর সেটা যদি হয় শিক্ষনীয় তাহলেতো কথাই নেই।
বড় লেখা যারা লিখতে পছন্দ করে তারা বড় লেখা পড়তেও পছন্দ করে। আমি বড় করে পোষ্ট লিখতে পারতাম না। এখন চেষ্টা করছি। আলহামদুলিল্লাহ আগের চেয়ে নিজেকে অনেকটাই পরিবর্তন করতে পেরেছি।
স্কিল শব্দটা জীবনে অত্যন্ত দরকারী। আর এভাবেই নিজেকে দক্ষ বানানোর বিকল্প নেই।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি আপনাদের রাকিব ভাই
https://www.facebook.com/MdRakibHossainSojol