স্যারের পোষ্টটা পড়ে একটা কথা মনে পড়লো। যদিও আমরা গ্রামে থাকতাম। তবুও গ্রামের সব কালচার আমাদের পরিবারে এলাউ ছিলোনা। আমি কিন্তু গ্রাম কে ছোট করে বলছিনা।গ্রাম আমি অনেক ভালোবাসি।
তো আমাদের বাড়ির কর্তা ছিলেন বড় চাচা তার কিছু নিয়ম ছিল।তখন গ্রামে কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া তেমন কেউ খবর কাগজ রাখতোনা বা পড়তোনা। টেলিভিশনের সংখ্যাও কম ছিলো। মাঝে মাঝে খবরের কাগজ পাওয়া যেত তার পরের দিন। আমার বড় চাচাকে দেখতাম।
আগের দিন এবং ঐদিন দুই দিনের খবরের কাগজই পরতো। আমি খুব বিরক্ত হতাম। বলতাম কালকের ঘটনাতো কালকে শেষ হয়ে গেছে আজ পড়ে কি হবে। চাচা তখন বলতো আজকের এই কাগজের সব খবরই কি আমাদের কাজে লাগে তাওতো পড়ি।
আমিও বলতাম কেন পড়েন??
বলতো আমার পড়তে ভালো লাগে তাই পড়ি।
চাচাকে দেখতাম পুরোনো কোন কাগজ পেলেও খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তো।
আর আমরা যদি কখনো বলতাম পড়া শেষ তখন ভীষণ বকুনি খেতে হতো। চাচা বলতো লেখাপড়ার কোন শেষ নেই। লেখাপড়া কখনো শেষ হয়না।
চাচার কড়া নির্দেশ ছিলো পাঠ্যবইয়ের বাইরে লেখাপড়া করার।।💖💖
রাজিব স্যারের লেখাপড়ার ধান্দাবাজির জন্যই রাজিব স্যার অন্যদের থেকে অালাদা। 💖💖
সত্যি কার অর্থে আমরা সবাই ছাত্রজীবনটাকে অনেক মিস করি। নিজেকে ছাত্র ভাবতে ভালো লাগে।
আমরা এখন ডি এস বির ছাত্র।
একদিন আমিও ইনশাআল্লাহ আর দশজন মানুষের সামনে গুছিয়ে কথা বলতে পারব নিজের ভাষায়।
ডি এস বিতে লেখাপড়া করে নিজের পরিবর্তন নিজেই উপলব্ধি করা যায়।
ডি এস বিতে নিয়মিত হয়ে ডি এস বির গর্বিত সদস্য হবো ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি আপনাদের রিকা আপু