অজুহাত কাকে দেবো?
ছোটবেলা থেকেই বাড়ির নিয়ম ছিলো মাগরীবের নামাযের পরই কোন অজুহাত না দিয়ে পড়ার টেবিলে যাওয়া। আমাদের বাড়ির সবাই একসাথে একরুমে এক টেবিলে পড়ার সিস্টেম ছিলো।মাঝে মাঝে খুব রাগ হতো এতো তাড়াতাড়ি কেন পড়তে বসতে হবে পাশের বাড়ির সমবয়সীরাতো পড়তে বসে নাই😠😠
কেন এক পড়ার টেবিলে সবাইকে পড়তে হয়??
যেখানে অনেক বন্ধু বান্ধবের আলাদা টেবিল সহ আলাদা পড়ার রুম।
কিন্তু এসব অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি সেই পড়তেই হবে।এভাবেই আমরা আমাদের লেখাপড়া শেষ করেছি।
আমরা কিন্তু ভাইবোনেরা সবাই লেখাপড়া করেছি। শিক্ষিত বলতে যতটুকু বোঝায় ততটুকু শিক্ষা সবার ভেতরেই আছে।এখন যখন নিজের মনের মতো কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে পাইনি তখন শুধু মনে হয় কেন ঐসব অভিযোগ করেছি।
আজ মনে হয় ঐ সব অভিযোগ গুলির অজুহাতে নিজেরই সময় নষ্ট করেছি, হীনমন্যতায় ভুগেছি। নিজেকে ছোট করে রেখেছি। ঐসবই ছিলো অজুহাত।
লেখাপড়াটা যদি আরো মনোযোগ দিয়ে করতাম তাহলে হয়তো নিজেকে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় দেখতে পেতাম।
জীবনের প্রত্যেকটি সময়ের উপযুক্ত ব্যবহার করা উচিত। অজুহাত গুলো না দেখিয়ে নিজেকে সঠিকভাবে তৈরি করা উচিত।
মনে রাখতে হবে আমার চেয়েও খারাপ অবস্থা থেকেও মানুষ তার অবস্থান পাল্টাচ্ছে।
তাই অজুহাত গুলো অন্যেকে দেখালে মূল ক্ষতিটা কিন্তু নিজেরই হয়।
প্রত্যেক বাবা মা চায় তার সন্তানকে সর্বোচ্চটা দিতে। তাই অভিযোগ যেন অজুহাত না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি আপনাদের রিকা আপু