১.১০মিনিট রাইটিং পোস্টকে আমি ট্রেনিং বলে থাকি। ট্রেনিং এর প্রত্যেকটি সেশনে যেমন নতুন নতুন অনেক কিছুই শেখার থাকে ঠিক তেমনি বিগত ৫০টি পোষ্ট পড়ে অনেক কিছুই শিখতে পেরেছি। শুরুর দিকের পোষ্টের টপিক গুলো দেখে কেমন যেন থতমত হয়ে যেতাম। কিন্তু এইসব টপিক আমাদের লেখার দক্ষতা যে কতটা বাড়িয় দিয়েছে তা আজ বুঝতে পারছি।
২. আমি বরাবরাই মুখস্তের বিপক্ষে।ছোটবেলায় এজন্য অনেক পিটুনি খেয়েছি। যেখানে অন্যেরা লাইন টু লাইন দাড়ি কমা সেমিকোলন সহ মুখস্ত বলে যেত আমি তখন মূল টপিকটা বুঝে নিজের মতো বলার চেষ্টা করতাম। পড়াশুনা এখন গতানুগতিক অবস্থা থেকে বের হয়ে সৃজনশীল হয়েছে। তাই আর বানিয়ে লেখার প্রয়োজনীয়তা মানুষ অনুভব করছে। চাকুরীর ক্ষেত্রে বানিয়ে লেখা বা কথা বলা অত্যন্ত জরুরি। এ ব্যাপার যে যত দক্ষতা দেখাতে পারবে সেই তত উপরে ওঠতে পারবে।
৩.আগেতো স্বপ্ন ঘুমের ঘোরে দেখতাম। জেগে স্বপ্ন দেখতে ভয় পেতাম। আসলে স্বপ্ন দেখাটাই হয়তো বুঝতাম না। আজ আমি স্বপ্ন দেখি। আজ আমি একজন সফল মানুষ হবার স্বপ্ন দেখি। যেখানে আমি সবসময় হতাশায় ডুবে থাকতাম। আজ সেখানে আমি স্বপ্ন বিলাসী। নিজেকে একজন সফল মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। আমার দ্বারা যেন কিছু পরিবার উপকৃত হতে পারে।
৪. মানুষের সামনে নিজের মতো করে কথা বলতে চাই। একজন শিল্পী যেমন তার কর্ম মানুষের সামনে প্রকাশ করতে চায়। আমিও আমার দক্ষতা মানুষের সামনে ফুটিয়ে তুলতে চাই।নিজের মতো কথা বলাটাও যে সৃজনশীলতা বা দক্ষতা।মানুষের সামনে নিজেকে সৃজনশীল হিসেবে প্রকাশ করলেই তো মানুষ আমার কাজ সম্পর্কে জানার আগ্রহ জানাবে।
৫. নিয়মিত থাকতে পারলে নিজেরই লাভ। একটানা কাজ নিয়মিত করতে পারলে সে কাজে দক্ষতা আসে। আর অনিয়মিত হলে কাজের ধারাবাহিকতা থাকেনা। ধারাবাহিকতা ছাড়া কোন কাজই ভালো হয়না। আজ এই ৫১ তম পোষ্ট লিখতে পারছি নিয়মিত ভাবেই। নিয়মিত হয়েজি বলেই প্রস্তুতি ছাড়াই নিজের মতো করে গুছিয়ে লিখতে পারি।
৬.দশ মিনিটের রাইটিং পোষ্টে আমি কি কি শিখেছি বললে বলতে হবে আমি নতুন করে ছাত্রী হয়েছি। নিজের ভাষায় পোষ্ট লেখার দক্ষতা অর্জন করেছি। অনেক বড় পোষ্ট কম সময়ে পড়ার অভ্যাস হয়েছে।অনেক দ্রুত অনেক কথা সাজিয়ে লিখতে পারছি।যা কিছুদিন আগেও করতে পারতাম না।
আমি আপনাদের রিকা আপু