দত্তা গল্পের একটি পরিচ্ছেদের উপর ৫টি প্রশ্নের উত্তর
১.দত্তা গল্পটি শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যয়ের এক অনবদ্য সৃষ্টি। এই গল্পের নরেন ও বিজয়া চরিত্র দুটি মূখ্য। নরেন ও বিজয়া একে অপরকে পছন্দ করে বা ভালোবাসে কিন্তু দুজনের সামাজিক অবস্থানের জন্য কেউ কাউকে বলতে পারেনা। নরেনের কাঁধে তাঁর বাবার ঋণের বোঝা। এমতাবস্থায় নরেনের ভালোবাসা প্রকাশ করা দৃষ্টতা ছাড়া তার কাছে কিছুই ছিলোনা।
২.বিজয়া চরিত্রটি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। বিজয়া তার সামাজিক অবস্থান কে উপেক্ষা করেই নরেন কে ভালোবাসে। কিন্তু সে ভালোবাসার কথা সে লজ্জায় নরেনকে বলতে পারেনা। অথচ পরেশকে দিয়ে নরেন কোথায় আছে সে খবর নেয়। নরেন কে কাছে পেয়ে তার চরিত্রটি যেন আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

৪. নরেন ও বিজয়ার কথোপকথন পড়ে মনে হলো নরেন ও বিজয়া একে অপরেকে প্রচণ্ড ভালোবাসে কিন্তু মুখে বলতে পারেনা। তাইতো বিজয়া পরেশকে দিয়ে বাতাসা কেনার ছুতোয় নরেনের খবর নেয়। আবার নরেনও তার পরিচয় লুকিয়ে বিজয়ার সাথে দেখা করতে আসে। সামাজিক অবস্থান দুজনকে দুজনের থেকে আলাদা করেছে।নরেনের বাবা বিজয়ার বাবার থেকে ঋণ গ্রহণ করায় নরেন তার পিতৃঋণ শোধের জন্য সবকিছু ছেড়ে এখন এক পিসির বাড়ি কিছুদিনের জন্য রয়েছে।
৫.বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় উপন্যাস পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে। তার উপর আবার স্যারের ধান্দাবাজি। পড়লে লেখতে পারা যায় আর বলার দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়।তাই এই চ্যাপ্টার পড়ে আমরা যারা দত্তা গল্পটি এর আগে পড়িনি তারা এই গল্পটা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি।পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়েছে এবং নিজের মতো লেখার অভ্যাসও হচ্ছে।
আমি আপনাদের রিকা আপু